মু’মিনের চরিত্র কিরূপ হওয়া উচিত??

  মু’মিনের চরিত্র কিরূপ হওয়া উচিতঃ-
১. দ্বীনের ক্ষেত্রে অবিচল থাকা।
২. নম্রতার সাথে সাবধানতা।
৩. দৃঢ়বিশ্বাস থাকা।
৪. ধৈর্য্যপূর্ণ ইলম এবং ইলমের সাথে সহনশীলতা।
৫. কোমলতার সাথে বিচক্ষণতা।
৬. অভাবের সময় ভদ্রতা বজায় রাখা।
৭. স্বচ্ছলতার সময় ভারসাম্যতা রক্ষা করা।
৮. ব্যয়ের ক্ষেত্রে উদারতা।
৯. পরিশ্রমী ব্যক্তির প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা।
১০. হক আদায়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দান করা।
১১. অবিচলাতার সাথে ইনসাফ করা।
১২. মু’মিন এমন কোন ব্যক্তির উপর জুলুম করে না, যে তাকে ঘৃণা করে।
১৩. যাকে ভালবাসে তার সহযোগিতা করতে গিয়ে অন্যায়ের আশ্রয় নেয় না।
১৪. কারো গীবত করে না।
১৫. কাউকে তুচ্ছ মনে করে না।
১৬. কারো পরনিন্দা করে না।
১৭. অনর্থক কাজ ও কথায় লিপ্ত হয় না।
১৮. খেল-তামাশা করে না।
১৯. চোগলখুরী করে না।
২০. যে বিষয়ে তার অধিকার নেই তার পিছনে পড়ে না।
২১. নিজের উপর ওয়াজিব হক অস্বীকার করে না।
২২. ওযরের ক্ষেত্রে সীমালংঘন করে না।
২৩. কারো বিপদ দেখে খুশি হয় না।
২৪. অন্যের গুনাহ দেখে আনন্দিত হয় না ।
২৫. মু’মিন নামাযে বিনয়ী হয় এবং রুকুর প্রতি অগ্রসর হয়।
২৬. তার কথা শেফা এবং তার ধৈর্য হলো তাকওয়া, তার নীরবতা হলো চিন্তা-ভাবনা, তার দৃষ্টি হলো উপদেশ গ্রহণ করা।
২৭. আলেমদের সান্নিধ্য গ্রহণ করে জ্ঞান অর্জনের জন্য।
২৮. তাদের মাঝে নীরব থাকে নিরাপদ থাকার জন্য।
২৯. কথা বলে গনীমত মনে করে।
৩০. যদি সে ভাল কাজ করে সু-সংবাদপ্রাপ্ত হয়।
৩১. আর যদি খারাপ কাজ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়।
৩২. র্ভত্সনার শিকার হলে তাতে সন্তুষ্ট থাকে।
৩৩. তার সাথে মুর্খতার আচরণ করলে সহনশীলতার
পরিচয় দেয়।
৩৪. আর যদি তার প্রতি অবিচার করা হয়, তখন ধৈর্য ধারণ করে।
৩৫. তার উপর জুলুম করলে ন্যায়পরায়ণ হয়।
৩৬. আল্লাহ ছাড়া কারো আশ্রয় চায় না।
৩৭. আল্লাহ ছাড়া কারো সাহায্য চায় না।
৩৮. মানব সমাজে বসলে স্থির ও গম্ভীর থাকে।
৩৯. নির্জনে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
৪০. অল্প রিযিকে সন্তুষ্ট থাকে।
৪১. স্বচ্ছলতার সময় আল্লাহর প্রশংসা করা, মসীবতের সময় ধৈর্য্যশীল থাকা।
৪২. অলস লোকের সাথে বসলে যিকির কারীগণের
তালিকাভুক্ত হয়।
৪৩. আল্লাহর যিকির কারীদের সাথে বসলে ক্ষমা প্রার্থনাকারীদে র মধ্যে গণ্য হয়।


এমনই ছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সকল সাহাবাগণ। আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকেও এই সমস্ত গুণগুলো অর্জন করার তাওফীক দিন,,,,আমীন।

Comments

Popular posts from this blog

নবী প্রেমের ৪১টি পুষ্প!! কিছু গুরুত্বপূর্ণ দরূদ শরীফ ও তার ফজিলত।।

হযরত আলাউদ্দিন আহমদ সাবের কালিয়ার (র) বড় পীরের পর সবচেয়ে জালালি ফায়েজের আউলিয়া।।

হযরত শাহ আলী বোগদাদী (রহঃ)