উপমহাদেশে সর্বপ্রথম ইসলাম প্রচারকারী আওলিয়া - #হজরত_শাহ_সুলতান_কমরুদ্দীন_রুমী (রঃ)
<3 <3 <3 উপমহাদেশে সর্বপ্রথম ইসলাম প্রচারকারী আওলিয়া -
#হজরত_শাহ_সুলতান_কমরুদ্দীন_রুমী (রঃ)
হজরত শাহ সুলতান কমরুদ্দীন রুমী (রঃ) এর পবিত্র মাজার শরীফ, নেত্রকোনা জেলার মদনপুরে অবস্থিত।
বাবা শাহ সুলতান রুমী (রঃ) ইংরেজি ১০৫৩ সালে ইসলাম প্রচারের জন্য ১২০ জন সুফি-সাধক সহচর নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। এর ১১৬ বছর পর ভারতের আজমিরে সুলতানুল হিন্দ হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.) এবং ২৫০ বছর পর বাংলাদেশে হজরত শাহজালাল মুজাররদ ইয়েমেনি (রহ.) আগমন করেছিলেন। যে কারণে তিনি এই বাংলাদেশ তথা গোটা উপমহাদেশে সর্বপ্রথম ইসলাম প্রচারকারী আওলিয়া হিসেবে খ্যাত।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাগ ভাগ করে ইসলাম প্রচার করতে সুফি-দরবেশদের দাওয়াতি কাফেলা পাঠাতে লাগলেন। একপর্যায়ে তিনি ৪১ জন অলি-দরবেশ নিয়ে চলে এলেন কোচরাজ বোকাই কোচের রাজধানী 'বোকাইনগর' হয়ে বর্তমান নেত্রকোনা জেলার মদনপুরে। এই মদনপুরে তখন হিন্দু সামন্তরাজ মদন কোচের শাসন কায়েম ছিল। সেসময়ে তাঁর অনুসারিগণ ছাড়া সে সময়ে ওই অঞ্চলে আর কোন মুসলমান ছিল না। কিন্তু বাবা শাহ সুলতান রুমী (রঃ) বসতি স্থাপনের পর পরই তাঁর আধ্যাত্মিক ক্ষমতা বিপুল সংখ্যক লোককে আকৃষ্ট করে।
বলা হয় যে, কোন লোক তাঁর সাহচর্যে আসলেই তাঁর অলৌকিকতায় মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে একান্ত ভক্ত-অনুসারী হয়ে পড়ত। রাজার নিকট যখন এ খবর পৌঁছায় তখন তিনি বাবা শাহ সুলতান রুমী (রঃ) কে ডেকে পাঠান এবং তাঁর কাজকর্ম ব্যাখ্যা করতে নির্দেশ দেন। বাবা জানালেন আল্লাহ তাঁকে আধ্যাত্মিক ক্ষমতায় বলীয়ান করেছেন। এরপর রাজার আদেশে তাঁকে বিষ পরিবেশন করা হয়। তিনি বিসমিল্লাহ বলে তা পান করেন। রাজা অবাক বিস্ময়ে দেখলেন যে, বাবা শাহ সুলতান রুমী (রঃ) এর কিছু তো হয়ই নি, বরং তিনি নিরাপদ ও বিপদমুক্ত রয়েছেন। এতে মুগ্ধ হয়ে উপস্থিত সকল লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এবং রাজা মদনপুর গ্রাম তাঁকে নিষ্কর দান করেন।
আসসালামু আলাইকা ইয়া ওয়ালী আল্লাহ!!!!!!
প্রচারে- আশেকানে জৈনপুরী - হাদীয়ে বাঙ্গাল শাহ কারামাত আলী জৈনপুরী রহঃ) Jounpuri
Comments
Post a Comment