মুন্সিগঞ্জের চান মস্তানের,শিংপড়া।












                                   
    মুন্সিগঞ্জের চান মস্তানের,শিংপড়া। 





  মুন্সিগঞ্জের #চান_মস্তানের কিছু কারামত!
তিনি বাংলার জুগ-শ্রেষ্ট কলব জারী ৭ তরিকার মহান অলী মাওলানা শাহ্‌ সূফী সৈয়দ আব্দুল জব্বার পীর কেবলা কাটাখালীর ভক্ত ছিলেন, চান মস্তান বাবা ১২ বছর সুফী আব্দুল জব্বার পীর কেবলার খেদমতে নিয়োজিত থেকে অলীতে পরিনত হন ।
পীর কেবলা তার সকল কর্মে খুশী হয়ে বলতেন, তোমায় আমি আমার আকাশের চান বানিয়ে গেলাম ।
১২ বছর পর পীরে কামেল আব্দুল জব্বার (রঃ) এর নির্দেশে তরিকা প্রচারে আত্ন-নিয়োগ করেন ।
চান মস্তান বাবার প্রধান আশেক ছিলেন প্রেসিডেন্ট বি-চৌধুরীর পিতা-মাতাগন ।
মাজার শরীফ - সিংপাড়া ।
মাওলানা আব্দুল জব্বার পীর কেবলার ভক্ত ছিলেন করিম #মস্তান (মস্তানঃমজ্জুব কিছিমের আউলীয়াগণ) মাজার পাক- চানখার পুলের নিকট, চাঁন মস্তান, #মাজারপাক- মুন্সিগঞ্জ সিংপাড়া। তিনাদের দুইজনের একজনেরো কোন জাহেরী লেখা পড়া ছিলো না। নিজের নামও লিখতে পারতোনা। অথচ দুইজনই বড় মাপের আউলীয়া। তাদের মাজারে গিয়ে আমি বড় বড় আরবী, পার্সি, কোরান ফেকাহ জানলেওয়ালা আলেমদিগকে ওসিলা তলব করিতে দেখেছি।
প্রাক্তন পেসিডেন্ট বি. চৌধুরীর বাসায়ও চাঁন মস্তান এর আসনঘর তথা ধ্যানাসন রয়েছে। চাঁন মস্তানকে একদা পুলিশ ইনচার্জ ধরে থানায় নিয়ে গেলেন, এবং লাথি দিয়ে হাজতে ভরলেন। চাঁন মস্তান বলেছিলেন,“আছই দুইদিন, তাতেই এতো বাহাদুরি?” দুইদিন'পর সেই পুলিশ ইনচার্জ মারা যায়। এই কারামত দেখে তাকে মুক্ত করে খালাশ করে দিয়ে, দুইজন পুলিশ তার খেজমত করার জন্যে দিয়ে দিলেন। চান মস্তান সেখান থেকে চলে আসলেন।
কেও তাঁহার কাছে কেও আসলে একটি পেন্সিল দিয়ে দাগিয়ে দিয়ে বলতেন চলে যাও। তাতেই কার্জ সিদ্ধি হয়ে যেত। সদরঘাট থানার যেখানে তিনি বসেছিলেন আজও সেখানে তাঁর সম্মানে বসা নিষেধ। অপরদিকে করিম মস্তানের রওজা চানখার পুলে, ১৯৭১-এ হানাদাররা তাঁহাকে গুলি করলে তিনি বললেন, “ডানের গুলি ডানে যাও, বামের গুলি যাও, দেখাগেল তাঁর চতুর্দিকে গুলি পড়ে রয়েছে তাঁর শরীরে একটি গুলিও লাগে নাই” এই সকল ঘটনাই সত্য, সেখানকার অবস্থিত মানুষের কাছে সকলই জানা।
উল্লেখ্য, তিনাদের মুর্শেদ হযরত আব্দুল জব্বার হুজুর কেবলার ছিলেন কোরান-ফেকাহ,হাদীসের অসীম জ্ঞান সম্পূর্ণ আলেমেদ্বীন। আধ্যায়ন করেছিলেন মিশরের আল আজহারে যখন এদেশের আধিকাংশ মানুষ কলম ধরা জানতো না। আশ্চর্য নয় বরং সত্যি তিনিও "তাসাউফ" কেতাব পড়িয়া পান নাই।

Comments

Popular posts from this blog

নবী প্রেমের ৪১টি পুষ্প!! কিছু গুরুত্বপূর্ণ দরূদ শরীফ ও তার ফজিলত।।

হযরত আলাউদ্দিন আহমদ সাবের কালিয়ার (র) বড় পীরের পর সবচেয়ে জালালি ফায়েজের আউলিয়া।।

হযরত শাহ আলী বোগদাদী (রহঃ)